আজব কান্ড : এক ফোনে গায়েব ১০ লক্ষ ১৮ হাজার ৬০০ টাকা

31st July 2021 1:26 pm হুগলী
আজব কান্ড : এক ফোনে গায়েব ১০ লক্ষ ১৮ হাজার ৬০০ টাকা


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  এক ফোনে গায়েব হয়ে গেল দশ লক্ষ, আটারো হাজার, ছশো টাকা। শ্রীরামপুরের রামকৃষ্ণ রোড, চাতরার,মান্না পাড়ায় বাসিন্দা অসীম কুমার নন্দন। বেসরকারী সংস্থায় কাজ করতেন তিনি । গত বছর আগস্ট মাসে ভি আর এস নেন । ভি আর এস এর টাকা পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের সেভিংস অ্যাকাউন্টে জমা রাখেন। শ্রীরামপুর পিএনবি শাখায় তার অ্যাকাউন্ট রয়েছে।চাকরির সুবাদে কলকাতার স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাঙ্কেও তার অ্যাকাউন্ট রয়েছে। অসীম বাবু জানান, গত ২৮ জুলাই বিকাল চারটের সময় তাকে ফোন করে বলা হয় স্ট্যান্ডার্ড ব্যাঙ্কের মিনিমাম ব্যালেন্স কমে গেছে।টাকা রাখতে হবে নয়ত নমিনি ব্যাঙ্কের পাশবই নম্বর দিতে হবে।তখন তিনি বুঝতেই পারেননি প্রতারনার শিকার হচ্ছেন।  পিএনবি ও ইউকো ব্যাঙ্কের সেভিংস অ্যাকাউন্ট নম্বর দিয়ে দেন। এরপরে তার কাছে একটি ওটিপি আসে সেটা দিয়ে দিতেই টাকা উঠতে শুরু করে। রাত দুটো পর্যন্ত দফায় দফায় দশ লক্ষ টাকা  তুলেনেয় নেয় জালিয়াতরা। তার ইউকো ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকেও পঞ্চাশ হাজার টাকা তুলে নেয়। যে টাকা ফিক্সড ডিপোজিট করে বাকি দিনগুলো চালিয়ে দেবেন ভেবেছিলেন সেই টাকা এই ভাবে চলে যাবে ভেবে উঠতে পারছেন না অসীম বাবু। করোনা হওয়ায় ব্যাঙ্কে যেতে পারেন নি।  অনেক দিন তাই টাকা সেভিংস অ্যাকাউন্টেই পরেছিল। তিনি স্মার্ট ফোন ব্যবহার করেন না,নেট ব্যাঙ্কিং বা ডিজিটাল লেনদেনও করেন না।  তাও তার অ্যাকাউন্ট থেকে নেট ব্যাঙ্কিং এর মাধ্যমে টাকা তুলে নিয়েছে জালিয়াতরা।ব্যাঙ্কে গিয়ে জানতে পারেন তার নেট ব্যাঙ্কিং চালু ছিল। চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের সাইবার ক্রাইম বিভাগে অভিযোগ জানিয়েছেন অসীম বাবু। এর আগে এই ধরনের অনেক প্রতারিতের টাকা উদ্ধার করে দিয়েছে সাইবার সেল। এখন সেই সেলের দিকেই তাকিয়ে বসে রয়েছেন অসীম বাবু ও তার পরিবার।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।